ভেজালের কষাঘাতে আসলের খবর নেই
দেশে বছরের বিভিন্ন সময় অভিযান হয় এবং বিশেষ করে প্রতি বছরেই মধু মাসে অভিযান হয়। হাজার হাজার মন আম গুড়িয়ে দেয়া হয়। এেেত্র আমার প্রশ্ন হলো, ফল ফলাদির অপরাধ কি? প্রয়োজনে আইনের সংশোধনী এনে ফলের সাথে ঐ অসাধু ব্যবসায়ী ও বিষাক্ত রাসয়নিক ও ফরমালিন আমদানিকারক ব্যক্তিবর্গদেরকে একই সাথে গুড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা যায় কি-না? তাহলে দেখবেন আগামীতে এভাবে আর সুমিষ্টি আম গুড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজন হবে না। এেেত্র কঠোরতা না দেখিয়ে কার্যকরি ফলাফল আশাকরার কোন সুযোগ নেই। ছাত্র জীবনের এক কাছের বন্ধু আবদুর রশীদ। রাজশাহীর ছেলে। উভয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাথে ভর্তি হয়েছিলাম। আমার সেই বন্ধু খুবই বিনয়ী স্বভাবের। মাস্টার দা-সূর্যসেন হলের ছাত্র ছিলাম। হলের ডাইনিংএ আমরা মাঝে মধ্যে এক সাথে দুপুরের খাবার খেতাম। ডাইনিং-এর বিল ছিল ৭ টাকা। তখন সিনিয়র ভাইদের বলতে শুনেছি, হলের ডালের পানি না খেলে নাকি ভালো রাজনীতিবিদ হওয়া যায়না। আজও মনে আছে সেই ডালের ইতিহাস। ডাল থাকা পাত্র ৪ ফুট গভীর হলেও খালি চোখেই তলা পর্যন্ত দেখা যেত। তারপরও সেই ডাল খেয়েছি পরম তৃপ্তিতে। এখন ডাল খেলে মনে হয়, ‘ডালমে কুচ কালা হায়’। সেই তৃপ্তি আর খুঁজে পাইনা। ১৯৯১ সালে আমার সেই বন্ধুটি অনার্স ২য় বর্ষে সরকারি চাকুরি নিয়ে রাজশাহী চলে যায়। আজও সে রাজশাহীতেই আছে। অনার্সের বাকি বর্ষগুলো ও মাষ্টার্স রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পন্ন করেছে। কয়েকদিন আগে সেই আবদুর রশীদ ফোনে আম খাওয়ার দাওয়াত দেয়। সুমিষ্টি আম। নিজের গাছ থেকে পেরে খাওয়াবে। খুব লোভ হচ্ছে সাধের মিষ্টি আম খেতে যাওয়ার জন্য। গাছ থেকে পাকা আম পেরে খাওয়ার স্বাদই আলাদা। বহু বছর আগে গাছ থেকে আম পেড়ে খেয়েছি, এখন আর ব্যাটে বলে মিলেনা। তাই সখ থাকলেও সাধ্য নেই। বন্ধু বার বার বলল চলে আয় বন্ধু দ্রুত, ভাল ও ভেজালমুক্ত খেতে হলে। এ সময় রসালো ও বাহারি নামের নানান ফল, বিভিন্ন জাতের আমের সমহার রসে টুই টুম্বুর লেচু, মিচমিচে কালো জামের কথাও বাদ পরেনা। বিক্রেতাদের কাছে থরে থরে সাজানো আছে চোখ ধাধানো বহুবিধ ফলফলাদি। এই ভরা মৌসুমে ফল খাবেনা এমন লোক খুঁজে পাওয়ার কথা চিন্তা করাও বোকামি বৈ-কিছু নয়। কিন্তু এই চোখ জুরানো ফল ফলাদির মধ্যে মিশিয়ে রাখা হয়েছে জীবনঘাতি বিষাক্ত রাসায়নিক ও ফরমালিন, যা আমরা ক্রেতা সাধারণ অনেকটা মনের অজান্তে বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছি। এর বিরুদ্ধে আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প থেকে প্রচার, প্রতিরোধ ও পর্যাপ্ত জনসচেতনমূলক কোন অনুষ্ঠান না থাকায় এই বিষাক্ত রাসায়নিক ও ফরমালিনের ব্যাপারে সাধারণ জনগণ তাদের জীবনের মারাতœক তিকর বিষয়টি পুরোপুরিভাবে ওয়াকিবহাল নয়। বিষাক্ত রাসয়নিক ও ফরমালিনের বিরূদ্ধে আমাদের দেশে প্রতিটা মিডিযা প্রায়শই তাদের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পদপে অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ। আসলে আমরা কি খাচ্ছি? এ বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বহু লেখালেখি হয়েছে, অসংখ্য লেখা বেড়িয়েছে, অসংখ্যবার খবরের কাগজে রিপোর্ট হয়েছে। অভিযানও হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জারিমানা করা হয়েছে। ভেজালকারী প্রতিষ্ঠানকে সীলগালা করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পরে আবার ‘যেই লাউ সেই কদু’। আমরা যে যেখানেই থাকি আশ পাশে তাকালেই দেখা যাবে প্রতিটা মহল্লায় বা গলিতে যতগুলো নিত্য প্রযোজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ঠিক সমসংখ্যক ঔষধ বিক্রয়ের দোকান, এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো প্রতিটা ঔষধের দোকানে সারানই ভীর লেগে আছে। তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে এত ঔষধ কেন কিনছেন লোকজন? উত্তর স্বাভাবিক ুঅপঃঁধষষু ডব যধাব ষড়ংঃ ড়ঁৎ ফরংবধংব ঢ়ৎড়ঃবপঃরড়হ ঢ়ড়বিৎ.চ্ কারণ আমাদের দেহের সমস্ত অর্গানগুলো ভেজাল খাদ্যে রোগ প্রতিরোধ মতা হারিয়ে ফেলছে এবং দেশের অসাধূ ব্যসায়ীদের বিষাক্ত পয়েজেনিংয়ে আমাদের প্রত্যেকটা অরগান আজ আক্রান্ত। এেেত্র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামতে দেখা যায়, দেহে দিনের পর দিন বিষাক্ত রাসায়নিক ও ফরমালিন প্রবেশ করলে ক্যান্সার হওয়ার আশংঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। শিশুদের ক্যান্সারের পাশাপাশি অন্যান্য জটিলতাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ফরমালিনের কারণে কিড্নি ও লিভার নষ্ট হওয়ার আশংকাও থাকে অনেক বেশি। এেেত্র সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্থ হচ্ছেন গর্ভবতী মায়েরা ভেজালের ছড়াছড়ি সর্বত্র। মৌসুমি ফল, কলা, মাছ-মাংস, শাক্-সবজিসহ প্রতিটি খাদ্য ভেজালযুক্ত। শুধু কি খাদ্যে বিষ মিশিয়েই ান্ত হয়েছে অসাধু চক্র? অসাধু চক্র বিভিন্ন যোগ সাজসে শহরের হোটেলগুলোতে পঠিয়েছে মরা মুরগির মিছিল। মনে হচ্ছে দেশের প্রশাসন দেখছে আর নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য নিরাপদ দূরত্ব থেকে দু-একাটি ঢিল ছুড়ছেন। প্রশাসনের প থেকে কঠোর ও কার্যকরি পদপে না নিলে শুধু লেখা লেখি করে এর প্রতিকার কতটুকু পাওয়া সম্ভব তার বিশ্লেষণে যেতে চাচ্ছিনা। আমরা একটু চেষ্টা করলেই বুঝতে পারব আসলে আমরা অতি কষ্টে উপার্জিত অর্থদিয়ে কি কিনে খাচ্ছি এবং আমাদের আপনজকে কি খাওয়াচ্ছি। আমি গত দু’দিন পূর্বে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) একজন আম বিক্রেতার সাথে কথা বলেছি, তিনি মিরপুর ১২নং সেকশনের ডি বস্নকে থাকেন, প্রতিবারেই সে এ মৌসুমে আম বিক্রি করে, তিনি বছরে শতশত মন আম বিক্রি করেন, তার কাছে আমি জানতে চেয়েছিরাম ভাই সাত্যিকারভাবে আমাকে একটু বলুনতো আপনি যে ফল বিক্রি করছেন তা কতখানি কেমিক্যাল মুক্ত? তিনি আমাকে স্পষ্টভাবে হাসতে হাসতে বললেন স্যার, ঢাকায় যখন এই আমগুলো কার্টুন করে পাঠানো হয় তখনই আড়ৎ থেকে স্প্রে করে কার্টুন করা হয় যাতে আম দির্ঘদিন নষ্ট না হয়। অতএব আপনি কোথাও ভেজালমুক্ত আম পাবেননা। যারা তাদের আম ভেজাল মুক্ত বলে দাবি করেন, তারা এবং আমরা সকল ব্যবসায়ীরা একই ভাবে বিভিন্ন আরত থেকে এইসব আম নিয়ে আসি। তাই মিথ্যা বলে আমি আপনার কাছে আম বিক্রি করবনা যেহেতু আপনি আমার পরিচিত। তাই আমার বুঝতে বাকি থাকলনা- কি হচ্ছে এই মৌসুমী বাহারি ফলে। শুধু মৌসুমি ফলে ভেজাল আছে তাই বলে এই লেখা নয়, আপনি বাজারে যাবেন মাছ, শাক সবজি থেকে শুরু করে সব েেত্রই আজ ভেজাল। ইদানিংকাল থেকে মাছে সরাসরি ফরমালিন না মিশিয়ে বরফে ফরমালিন মেশানো হচ্ছে। কি অভিনব পদ্ধতি। অন্যায় কাজে আমাদের কতইনা দতা। ধুর্ত অসাধু সমস্ত প্রশাসন ও গেয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। মাছ, ফল-ফলাদিসহ বিভিন্ন খাবারের মধ্যে বিষাক্ত কেমিকেল ও ফরমালিন মেশানো যেন আজ ব্যবসায়িদের রূটিন ওয়ার্ক হয়ে গেছে। মৎস বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ ক্রেতা সাধারণের জন্য বিভিন্ন সময়ে সতর্কতামূলক কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন, ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফরমালিনযুক্ত মাছ চেনার জন্য কয়েকটি নমুনার কথা তারা উল্লেখ করেন যেমন ফরমালিন যুক্ত মাছ শক্ত বা অনমনীয় হবে, মাংশপেশি মনে হবে রাবারের মত, আশ হবে শক্ত। মাছের গায়ে মাছি পরবেনা। মাছের চোখ ভিতরে ডেবে যাবে, ঢুলকা কালো হয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বর্তমানে আবার বড় বড় মাছগুলোতে ইনজেকশন দেয়া হচ্ছে যার কারণে পরীা করলে কোন বিষাক্ত রাসায়নিক বা ফরমালিন ধরা পরেনা। আমরা আসলে কোন বিষয়ের গভীরে যেতে চাইনা অথবা বিশ্লেষণমূলক চিন্তার সুফল ভোগ করতে চাইনা। কেন আমাদের এই অবহেলা তা আমরা নিজেরাই জানিনা। আমাদের দায়সারা চিন্তা ভাবনা আজ আমাদের বিপদের শেষপ্রান্তে এসে দাঁড় করিয়েছে। আমাদের ভবিষ্যত জেনারেশনকে এর খেসারত করায় গন্ডায় গুনে গুনে দিতে হবে তার চিন্তাও যেন আমাদেরকে জাগিয়ে তুলতে পারছেনা। আমরা যেন কোন অন্যায়ের বিরূদ্ধেই জেগে উঠতে পারছিনা। আমরা বোধহয় সেই গল্পের রাজার দরবারের আলসে বনে গেছি, আগুন লাগিয়েও ঘুম থেকে জাগানো যাবেনা। আমার মনে হচ্ছে আমরা নিজেরাই বিষক্ত কেমিকেলে প্রচন্ডভাবে আক্তান্ত। আমাদের এই অবহেলার দায় কে বহন করবে তা যদি সত্যিকারে আমরা তিয়ে দেখার চিন্তা করতাম তাহলে আজ এই ভেজাল মহামারি আকার ধারণ করতে পারতনা। এর বিরুদ্ধে সকলেই রুখে দাড়াত। ভেজাল ব্যবসায়িরা কি এতই শক্তিশালী যে, তারা একটা জেনারেশন ধ্বংস করে দিয়ে যাবে আর আমাদের দেশের প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কিছু যায় জারিমানা করেই ান্ত হয়ে যাবেন, এটা হতে পারেনা। কি করে ব্যাবসায়ীরা বিদেশ থেকে এই বিষাক্ত রাসায়নিক ও ফরমালিন আমদানির সুযোগ পায়? গত ২১.০৬.২০১৩ইং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় পিছনের পাতায় শেষ কলামে রিপোর্ট বেড়িয়েছে ৬টি প্রতিষ্ঠান নাকি এই বিষাক্ত রাসায়নিক ও ফরমালিন আমদানির সাথে জড়িত। তাই যদি সত্যি হয় তাহলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শনাক্ত করে লাইসেন্স বাতিলসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। বিষাক্ত রাসায়নিক ও ফরমালিন দ্বারা বেশি আক্তান্ত হচ্ছে শিশুরা, কারণ তাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ মতা বড়দের চেয়ে কম। আশ্চর্যের বিষয় আমাদের দেশের শিশুদের গুড়ো দুধ নিয়েও অভিযোগ উঠেছিল। আমরা কখনও বহির্বিশ্বের দৃষ্টান্তমূলক ভাল উদাহরণ গ্রহণ করিনা বরং কোন প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টান্ত থাকলে তা গ্রহণ করি এবং কি করে নিজে তরতাজা হওয়া যাবে তার হিসেবে ব্যস্ত থাকি। গত ২০০৫ সালে আমার এক বন্ধু কানাডা থেকে দেশে ঘুরতে আসছেন এবং আমার সাথে এক চায়ের আড্ডায় কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি আমাকে বললেন দেখ বন্ধু আমাদের দেশে শিশু খাদ্যেও ভেজাল আমরা কত নিষ্ঠুর, আমাদের দেশের শিশুরা কত অবহেলিত, প্রয়োজনীয় সব অবস্থান থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অবহেলার চোখে দেখা হচ্ছে। গল্পের এক পর্যায়ে তিনি আমাকে জানালেন যে একসময় কানাডার শিশুখাদ্য (গুড়ো দুধ) উৎপাদনকারীরা তাঁদের গুড়ো দুধের মূল্য ৫% বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন, কিন্তু সরকারের প থেকে যথারীতি আবেদন গ্রহণ করা হলো এবং সরকার নিজস্ব পর্যায়ে মিটিং করে ভালো মন্দ বিশ্লেষণ করে সাথে সাথে সমস্ত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিলেন যে গুড়ো দুধের মূল্য বাড়ানো যাবেনা এবং ব্যবসায়িদেরকেও লোকসানে ফেলা যাবেনা এর বিপরীতে সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ৫% ভর্তূকি দেয়ার প্রস্তাব পাশ করে নিলেন। সরকারের পরে যুক্তি ছিল লণীয় এবং প্রশংসনীয়। সরকারের ব্যাখ্যা ছিল যেহেতু জনসাধারণের উপার্জন বাড়েনি তাই এই ৫% অতিরিক্ত খরচ জনসাধারণের জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে যাবে এবং এর ফলে বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের ৫% দুধ কম খাওয়াবে আর এর ফলে ভবিষ্যত প্রজন্ম অপুষ্টিতে ভুগবে এবং অপুষ্টিতে বড় হওয়া লোকের চিন্তা শক্তিও যথার্থ হবেনা। অতএব ভবিষ্যত জেনারেশনের কথা চিন্তা করে তারা এ দষ্টান্তমূলক সিন্ধান্ত নিলেন। কিন্তু আমাদের দেশে আমরা সেই ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিজ হাতে বিষ তুলে দিচ্ছি। এর চেয়ে আর নির্মমতা কি হতে পারে। দেশে বছরের বিভিন্ন সময় অভিযান হয় এবং বিশেষ করে প্রতি বছরেই মধু মাসে অভিযান হয়। হাজার হাজার মন আম গুড়িয়ে দেয়া হয়। এেেত্র আমার প্রশ্ন হলো, ফল ফলাদির অপরাধ কি? প্রয়োজনে আইনের সংশোধনী এনে ফলের সাথে ঐ অসাধু ব্যবসায়ী ও বিষাক্ত রাসয়নিক ও ফরমালিন আমদানিকারক ব্যক্তিবর্গদেরকে একই সাথে গুড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা যায় কি-না? তাহলে দেখবেন আগামীতে এভাবে আর সুমিষ্টি আম গুড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজন হবে না। এেেত্র কঠোরতা না দেখিয়ে কার্যকরি ফলাফল আশাকরার কোন সুযোগ নেই। আপনারা যারা দেশের রাষ্ট্রীয় মতায় আছেন এবং পূর্বেও যারা রাষ্ট্রীয় মতায় ছিলেন তাদের বিনয়ের সাথে অনুরোধ জানাচ্ছি একটি কথা স্মরন রাখবেন ফরমালিন ও বিষাক্ত রাসায়নিক শুধু দেখে দেখে দেশের নিরীহ জনগণকে অসুস্থ করবেনা। ফরমালিন ও বিষাক্ত রাসায়নিকের কোন দল নেই, ওরা কোন কোন সরকার বা বিরোধী দল চিনেনা। অতএব আপনারা এভাবে নীরব দর্শকের ভ্থমিকা পালন না করে দেশের স্বার্থে, এ দেশের নিরীহ জনগন ও বিশেষকরে ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে এবং সর্বোপরি নিজেদের স্বার্থে হলেও জেগে উঠুন, সংসদের অধিবেশনে চিৎকার করে উঠুন এবং দলমত নির্বিশেষে কণ্ঠভোটে মৃত্যু দন্ডের চেয়েও ভয়াবহ কঠিন কোন আইন পাশ করূন। এর মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি নজির বিহীন আইন পাশ হয়ে থাকবে এবং এর ফলে গোটা জাতি এক ভয়াবহ বিষাক্ত ছোবল থেকে রা পাবে, এবং একইসাথে ভবিষ্যত প্রজন্মও সুস্থ্য ভাবে বড় হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
0 Comments