সৈয়দপুরসহ আশপাশের বাজারগুলো ভরে গেছে ভেজাল সারে। এ ভেজাল সার কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ কৃষক। কৃষি কর্মকর্তার এ বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব থাকলেও তিনি কেন যেন নীরব ভুমিকায়।
খাতা মধুপুর ইউনিয়নের কৃষক ফেরাজ উদ্দিন, বাঙলীপুর ইউনিয়নের কৃষক নূর ইসলাম, কামারপুকুর ইউনিয়নের কৃষক সত্যেন্দ্র নাথ সরকার জানান, আমরা সার ও কীটনাশক কিনে তা জমিতে ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির সার ও কীটনাশক ভেজাল করা হচ্ছে। যেমন বোরাক্স, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফেট, পটাশ, টিএসপি ও দস্তাসহ আরো অনেক। ভেজাল করা হচ্ছে সার এমন অভিযোগ কৃষকদের।
ওজনে কম, বস্তার মুখ খুলে ভেজাল সংযোজন, আবার দামে বেশি, সেলাই মেশিন ব্যবহার সব মিলিয়ে প্রতারক চক্র মেরে ফেলছে কৃষকদের। সুফল তো দূরের কথা এ ভেজাল সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে খেতের ফসল তো নেই বরং জমির উর্বরা শক্তিও কমে যাচ্ছে।
সৈয়দপুর শহরের মধ্যে গড়ে উঠেছে শতাধিক সারের দোকান, এবং গড়ে তোলা হয়েছে কিছু সার কোম্পানি। এরা সকল বিভাগকে ম্যানেজ করে এসকল অপকর্ম করে যাচ্ছে। সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের সময় অনেক সার গোডাউন এবং কোম্পানিতে অভিযান চালিয়ে সারের পরিবর্তে ধরা পড়ে শুধু খিয়ার লাল মাটি। ওই সময় মামলাও হয় অনেকের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা এসব পার হয়ে তারা আবার কৃষক মারার ভেজাল সারে জড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে সারের বিষয়ে কোন অভিযান না চলায় আবার একটি চক্র পুরোদমে সারে ভেজাল দিয়ে চলছে। আর ওই সকল ভেজাল সার কৃষকরা জমিতে ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই অনেক কৃষক দোকানগুলোতে ভেজাল বিরোধী অভিযানের দাবী তুলেছেন।
0 Comments