এ ছাড়া উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ বস্তা ভেজাল মরিচের গুঁড়া, ২০ বস্তা পঁচা মরিচ ও ২০ বস্তা ভেজাল হলুদের গুঁড়া জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ভেজাল মসলা কারখানার মালিক মো. দেলোয়ার হোসেনকে পাবনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
র্যাবের অভিযান : পাবনায় ভেজাল মসলা কারখানা মালিকের কারাদণ্ড ও জরিমানা
জেলার বেড়া উপজেলার দক্ষিণপাড়ায় একটি ভেজাল গুঁড়া মরিচ ও হলুদ তৈরির কারখানায় র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিককে কারাদণ্ড প্রদান ও অর্থ জরিমানা করেছে। দণ্ডিত ব্যক্তির নাম দেলোয়ার হোসেন (৪০)। তিনি ওই এলাকার মৃত আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেজাল গুঁড়া মরিচ ও হলুদ উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছিলেন তিনি।
গতকাল রোববার সকালে র্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। র্যাব-১২ সিপিসি-২ পাবনা ক্যাম্পের ডিএডি মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল উক্ত কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মোবাইল কোর্টের সদস্যরা কাঠের গুঁড়া, ধানের তুষ, পঁচা মরিচ ও বিভিন্ন প্রকার রং মিশিয়ে ভেজাল মরিচ ও হলুদের গুঁড়া প্রস্তুত করতে দেখতে পান, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ভেজাল মরিচ ও হলুদের গুঁড়া প্রস্তুত ও বিপণনের অপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান ওই কারখানার মালিক মো. দেলোয়ার হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪২ ধারায় মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৭(২) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতা বলে আসামিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
0 Comments