গহনা তৈরির এসিডে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট হাঁপানি হৃদরোগসহ নানা ধরনের উপসর্গ

Source: Aparadh Bichitra

সোনার গহনা তৈরির জন্য এসিড ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। সোনা থেকে খাদ বের করার জন্য তাকে পোড়ানো হয় নাইট্রিক এসিড দিয়ে। আর সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহার হয় সালফিউরিক এসিড। নাইট্রিক এসিড দিয়ে সোনা খাঁটি করার সময় যে ধোঁয়া বের হয়, তা বাতাসে মিশে বিষাক্ত অম্লীয় বাষ্পে রূপ নেয়। নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডযুক্ত ওই বাতাস শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হৃদরোগসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়।

এসিডের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় চালের টিন, এমনকি লোহাও বিনষ্ট হয়। মরে যায় পুকুরের মাছ। এমনটিই প্রতিনিয়ত ঘটছে দেশের সকল বাজার ও মহল্লায় ।নাইট্রিক এসিডে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড আছে, যা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সালফিউরিক এসিডেও প্রায় একই রকম ক্ষতি হয়। এর প্রভাবে মানুষের শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ ছাড়াও হার্টের সমস্যা হতে পারে। দেশের প্রায় শহর গুলোতে অর্ধশতাধিক সোনার দোকান আছে। স্বর্ণকার সোনার কাজে যে এসিড ব্যবহার করা হয় তার ধোঁয়ায় শরীরের কিছু সমস্যা হয়। চালের টিনও ছিদ্র হতে দেখা গেছে।

এসিড বিক্রির জন্য দোকানের লাইসেন্স রয়েছে। এসিডের ক্রেতা স্বর্ণ ও ব্যাটারি ব্যবসায়ী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অধিকাংশ জুয়েলার্স গুলোর এসিড ক্রয় ও ব্যবহারের লাইসেন্স নেই ; সরকারের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে তারা এসিড ক্রয় – ব্যবহার ও পরিবহণ করে যাচ্ছে। লাইসেন্স আছে এমন দোকানে সালফিউরিক, নাইট্রিক, কার্বলিক, হাইড্রোক্লোরিক প্রভৃতি এসিড পাওয়া যায়।

লাইসেন্স ছাড়া কোনো ক্রেতার কাছে অ্যাসিড বিক্রি করা হয় না। স্বর্ণকারেরা কেবল নাইট্রিক ও সালফিউরিক এসিড কেনেন। দেশে শহরের জুয়েলার্স দোকান গুলো ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায়। জনগণের সাস্থ্যের দিকে বিবেচনা করে ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সোনার কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি মনে করেন সমাজের বিশিষ্ঠ ব্যক্তি গণ।

Print Friendly, PDF & Email

0 Comments

There are no comments yet

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × one =

Back to top