আমরা প্রতিদিন কি খাচ্ছি!

Source: Aparadh Bichitra

মোঃ রফিকুল ইসলাম মিঠু: ব্যস্ত এই শহরে আমরা সবাই কোননা কোন কাজে ব্যস্ত থাকি ঠিকমতো খাবার খাওয়ার সময় ও পাওয়া যায় না। কর্মব্যস্ততার কারনে গভীররাতে বাসায় ফিরতে হয় প্রায় মানুষকে। অতিরিক্ত খরছ জোগাতে স্বামী স্ত্রী দুজনকেই চাকুরী করতে হয়। এই অবস্থার কারনে ঘরে ফিরে ঠিকমত কেউ কারো সাথে কথা বলাও হয় না। সকালে প্রায় সময় নাস্তা তৈরি করা হয়ে উঠেনা।আবার অনেক বাসায় তৈরি হলেও সময়ের অভাবে খাওয়া হয়ে উঠেনা। পথিমধ্যে এককাপ চা আর বনরুটি দিয়েই সকালের নাশতা সারা হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বাসায় নাস্তার টেবিলে পাওরুটি নামক নাস্তার আয়োজন হয়। ঢাকা শহরের আনাছে কানাছে গড়ে ওঠেছে এই রুটি তৈরির কারখানা। সরেজমিন উত্তরখান,  দক্ষিন খান ও তুরাগ এলাকায় ঘুরে প্রায় বিশটির মত কারখানার দেখা মিলে। কোথাও গিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ পাওয়া যায়নি।ময়লা আবর্জনার স্তূপ দেখা যায়। কোথাও গিয়ে মালিকের খোঁজ মিল্লনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ম্যানেজার বলেন প্রশাষনের অনেক কর্তাব্যক্তি কে মাসোয়ারা দিয়ে ব্যবসা চালাতে হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের দাদাদেরও কিছু দিতে হয। আশেপাশে নোংরা পানি,তেল,আটা ময়দা পড়ে থাকতে দেখা যায়। শরীরের ঘাম ঝরে পড়ে রুটির কাইতে। নাক পরিষ্কার করে হাত মোছেন কোমরে বাঁধা গামছায় আবার আটা মলা শুরু।

এলাকাবাসীর মতে রুটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় মেয়াদ বিহীন আটা ময়দা। বিএসটিআই অনুমোদন দিয়েছেন কিনা তারাই ভালো জানেন। তবে পতিটা প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআই নং দেওয়া থাকে। মনের মত করে উৎপাদন ও মেয়াদ দেওয়া থাকে। পরীক্ষা নিরিক্ষা করার কোন দরকার হযনা।

মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত অভিজান পরিচালোনা করলেও থেমে নেই তাদের ব্যবসা। অনেক বেকারি মালিকের সাথে ফোনে কথা বলতে চাইলে ফোন বন্ধ পাওয়া  যায। আবার কেউ কেউ সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর ফোন কেটে দেন।

Print Friendly, PDF & Email

0 Comments

There are no comments yet

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =

Back to top