গুড়া মশলার নামে বিষ খাচ্ছি!
বাজার থেকে খোলা বা প্যাকেটজাত যেসব গুড়া মশলা কিনে রান্না করছি আমরা তাতে যে কি পরিমান ভেজাল বা বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মেশানো রয়েছে তা কেউই জানি না। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেই একশ্রেণির অসাধু- অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা গুড়া মশলার সাথে ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে বিক্রি করে আসছে। অনেক সময় ধানের কুড়া, কাঠের ভূষিও মিশিয়েও বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় অনেক সময় মরিচের গুড়াকে ঝাল বানানোর জন্য অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থও মেশায় এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রামের চাকতাই এলাকায় এমন একটি ভেজাল মশলা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এই কারখানাটি থেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল মসলা তৈরি করে বাজারজাত করার অপরাধে বাকলিয়া হতে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলা জব্দসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

র্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা জানান, গত ২৩ মে অভিযান পরিচালনা করে মো. জসিম উদ্দিন (মিলের মালিক), মো. শরীফ হোসেন (৪০), মো. আলাউদ্দিন (৩৬), মো. জিলানী (২০), মো. সুজন (১৯), মো. সাইদুল (২০), আবদুল কাদের (৩৮), মো. সজল (৪৩), মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৮), এবং মো. কামরুল হাসান (২৫) সহ ১০ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃর্ত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদসহ উক্ত মশলা মিল ঘরের ভিতর তল্লাশি করে ভেজাল রং মেশানো প্রায় ৬০০ কেজি হলুদ, মরিচ ও ধনিয়া গুড়া এবং ১২ কেজি ভেজাল রং ও রাসায়নিক পদার্থ উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ অসৎ উপায় অবলম্বন করে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের মশলাসহ মরিচের গুঁড়ার সাথে বিভিন্ন রং ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে ভেজাল মশলা তৈরি করছেন। শুধু তাই নয় তারা এই সব ভেজাল মশলা চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন বাজার ছাড়াও, আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রয় করে আসছে বলে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

The post গুড়া মশলার নামে বিষ খাচ্ছি! appeared first on Bhorer Kagoj.
0 Comments