নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – দ্বিতীয় অংশ

(১১) ‘‘খাদ্য-স্থাপনা’’ অর্থ খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, আমদানি, সরবরাহ, মজুদ, বিতরণ বা বিক্রয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভূমি, দালানকোঠা, যানবাহন, ভ্যান, তাবু অথবা উন্মুক্ত, আবৃত বা দেওয়াল ঘেরা কোন জায়গা অথবা যে কোন ধরনের অবকাঠামো এবং জলপ্রবাহ, হ্রদ, সমুদ্রতীর, নালা-নর্দমা, খানা-খন্দক, নদী, পোতাশ্রয় বা অন্য কোন জলাশয়ের উপর অবস্থিত অবকাঠামোও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(১২) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান;

(১৩) ‘‘দন্ডবিধি’’ অর্থ চবহধষ ঈড়ফব (অপঃ. ঘড়. ঢখঠ ড়ভ ১৮৬০);

(১৪) ‘‘দূষক’’ অর্থ এইরূপ কোন বস্তু যাহা, খাদ্যদ্রব্যে যোগ করা হউক বা না হউক, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, প্রস্তুতকরণ, মোড়কাবদ্ধকরণ, পরিবহন, মজুদ অথবা পরিবেশ-দূষণ বা অন্য কোন কারণে খাদ্যে উপস্থিত থাকিতে পারে, তবে পোকামাকড়ের অংশবিশেষ, চুল, লোম বা অন্য কোন বহিঃস্থ পদার্থ ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;

(১৫) ‘‘ধারণপাত্র’’ অর্থ ইতোপূর্বে ব্যবহৃত হইয়াছে এইরূপ কোন স্বাস্থ্য হানিকর পাত্র হইতে প্রস্তুত নয়, এইরূপ কোন আধার বা মোড়ক, যাহা ধূলাবালি, অননুমোদিত মাত্রার জৈব বা রাসায়নিক দূষক, আর্সেনিক, পারদ বা স্বাস্থ্য হানিকর ভারী-ধাতু হইতে মুক্ত;

(১৬) ‘‘নকল খাদ্য’’ অর্থ বিক্রয়ের জন্য অনুমোদিত কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণের অনুকরণে অননুমোদিতভাবে অনুরূপ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রস্তুত বা লেবেলিং করা, যাহার মধ্যে অনুমোদিত খাদ্যের উপাদান, উপকরণ, বিশুদ্ধতা ও গুণগত মান বিদ্যমান থাকুক বা না থাকুক;

(১৭) ‘‘নিরাপদ খাদ্য’’ অর্থ প্রত্যাশিত ব্যবহার ও উপযোগিতা অনুযায়ী মানুষের জন্য বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত আহার্য;

(১৮) ‘‘নিরাপদ খাদ্য বিরোধী কার্য’’ অর্থ পঞ্চম অধ্যায়ে উল্লিখিত খাদ্য ব্যবসা পরিচালনায় বিধি-নিষেধ লংঘনজনিত কোন কার্য;

(১৯) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত, সরকারের অনুমোদনক্রমে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিখিত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত;

(২০) ‘‘পরিদর্শক’’ অর্থ ধারা ৫১ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত কোন নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এবং উপ-ধারা (২) এর অধীন নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের দায়িত্বপালনকারী ব্যক্তিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(২১) ‘‘পশু বা মৎস্য-রোগের ঔষধের অবশিষ্টাংশ’’ অর্থ পশু বা মৎস্য-রোগের ঔষধে ব্যবহৃত মূল যৌগ বা তাহার বিপাক বা শোষণকৃত-বস্তু, যাহা কোন প্রাণীজ উৎস হইতে প্রাপ্ত খাদ্যদ্রব্যের ভোজ্য অংশে বা পশু বা মৎস্য খাদ্যের উপকরণের মধ্যে উপস্থিত ঔষধের অবশিষ্টাংশ এবং সহযোগী দূষণকারী দ্রব্যাদি (রসঢ়ঁৎরঃরবং) থাকিলে উহাও অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(২২) ‘‘পরিষদ’’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদ;

(২৩) ‘প্রক্রিয়াকরণ-সহায়ক দ্রব্য’’ অর্থ যন্ত্রপাতি ও গৃহ-সরঞ্জাম ব্যতীত অন্য যে কোন পদার্থ বা বস্তু, যাহা খাদ্য হিসাবে সরাসরি ভক্ষণ করা হয় না, তবে খাদ্যোপকরণ হিসাবে বিশেষ কারিগরি প্রয়োজনে কোন শোধন অথবা প্রক্রিয়াকরণের স্বার্থে ব্যবহৃত হয় বা প্রক্রিয়াকরণের পর চূড়ান্ত খাদ্যদ্রব্যে উপজাত বা অবশিষ্টাংশ (ৎবংরফঁব) বা যাহাদের অনিবার্য উপস্থিতি আদি নহে এইরূপ বস্তু হিসাবে পরিলক্ষিত হয়;

(২৪) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(২৫) ‘‘ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ ঈড়ফব ড়ভ ঈৎরসরহধষ চৎড়পবফঁৎব, ১৮৯৮ (অপঃ ঘড়. ঠ ড়ভ ১৮৯৮);

নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – প্রথম অংশ নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – তৃতীয় অংশ
Back to top