নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – ষষ্ঠ অংশ

বিজ্ঞাপনে অসত্য বা বিভ্রান্তিকর তথ্য-
৪১। কোন ব্যক্তি কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ বিপণন বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত বিজ্ঞাপনের শর্তাদি লঙ্ঘন করিয়া বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তিকর বা অসত্য তথ্য প্রদান করিয়া অথবা মিথ্যা নির্ভরতামূলক বক্তব্য প্রদান করিয়া ক্রেতার ক্ষতিসাধন করিতে পারিবেন না।

মিথ্যা বিজ্ঞাপন প্রস্তুত, মুদ্রণ, বা প্রচার-
৪২। (১) কোন ব্যক্তি কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণের গুণ, প্রকৃতি, মান, ইত্যাদি সম্পর্কে অসত্য বর্ণনাসম্বলিত কোন বিজ্ঞাপন প্রস্তুত, মুদ্রণ, প্রকাশ বা প্রচার করিতে পারিবেন না যাহার দ্বারা জনগণ বিভ্রান্ত হইতে পারে।
(২) এই ধারার অধীন আনীত কোন মামলায় বিবাদিকে, আত্মপক্ষ সমর্থনে, প্রমাণ করিতে হইবে যে-
(ক) উক্তরূপ অসত্য তথ্যসম্বলিত বিজ্ঞাপনের বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না অথবা বিষয়টি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাহার নিকট প্রতিভাত হয় নাই; এবং
(খ) বিজ্ঞাপন প্রস্তুত, মুদ্রণ, প্রকাশ বা প্রচারকারী হিসাবে তিনি সাধারণ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞাপনটি প্রস্তুত, মুদ্রণ, প্রকাশ বা প্রচার ব্যবস্থা করিয়াছেন।
(৩) এই ধারার অধীন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন অভিযোগ উত্থাপিত হইলে, ভিন্নরূপ না হইলে, আদালত এই মর্মে বিবেচনা করিতে পারিবে যে, সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী বা বিক্রয়কারী কর্তৃক উক্ত বিজ্ঞাপন, প্রস্তুত, মুদ্রণ, প্রকাশ বা প্রচারের প্রয়াস বা সহায়তা করা হইয়াছে।

খাদ্য ব্যবসায়ীর বিশেষ দায়-দায়িত্বঃ

নিম্নমানের অথবা ঝুঁকিপূর্ণ বা বিষাক্ত পদার্থযুক্ত খাদ্যদ্রব্য প্রত্যাহার-
৪৩। (১) যদি কোন ব্যক্তির নিকট বিশ্বাস করিবার মত যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, তিনি যে সকল খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, সরবরাহ বা বিক্রয় করিয়াছেন সেইগুলির ক্ষেত্রে এই আইন বা অন্য কোন আইনের অধীন নির্ধারিত মানদন্ড প্রতিপালিত হইতেছে না অথবা উহাতে কোন দুষক, তেজস্ক্রিয়তাযুক্ত, বিকিরণযুক্ত বা অন্য কোন ঝুকিপূর্ণ বা বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি, কারণ উল্লেখপূর্বক বিষয়টি সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রচারসহ, অনতিবিলম্বে সন্দেহজনক প্রশ্নবিদ্ধ খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ, কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বাজার বা খাদ্য ভোক্তার নিকট হইতে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

(২) যদি কর্তৃপক্ষের নিকট বিশ্বাস করিবার মত যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোন ব্যক্তি কর্তৃক যে সকল খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, সরবরাহ বা বিক্রয় করা হইয়াছে, সেইগুলির ক্ষেত্রে এই আইন বা অন্য কোন আইনের অধীন নির্ধারিত মানদন্ড প্রতিপালিত হইতেছে না অথবা উহাতে কোন দূষক, তেজস্ক্রিয়তাযুক্ত, বিকিরণযুক্ত বা অন্য কোন ঝুকিপূর্ণ বা বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি বিদ্যমান, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ, সন্দেহজনক প্রশ্নবিদ্ধ খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ বাজার বা ভোক্তার নিকট হইতে প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে এবং উক্ত ব্যক্তি উক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসরণে সংশ্লিষ্ট খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করিবেন।

উৎপাদনকারী, মোড়ককারী, বিতরণকারী এবং বিক্রয়কারীর বিশেষ দায়বদ্ধতা-
৪৪। (১) কোন খাদ্যাদ্রব্য বা খাদ্যেপকরণ উৎপাদনকারী বা মোড়ককারী এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের শর্তাবলী প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে উহা এই আইনের লঙ্ঘন হিসাবে গণ্য হইবে।

(২) কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ মজুদকারী বা বিতরণকারী এই আইনের বিধান লঙ্ঘনের জন্য দায়ী হইবেন, যদি তিনি,-
(ক) মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখের পরে কোন খাদ্য সরবরাহ করেন;
(খ) উৎপাদনকারী ঘোষিত সাবধানতা সংক্রান্ত নির্দেশনা লঙ্ঘন করিয়া খাদ্য মজুদ বা বিতরণ করেন;
(গ) খাদ্য নিরাপদতা সংক্রান্ত তথ্য, ব্যবসায়িক চিহ্ন বা পরিচিতি মুছিয়া ফেলেন;
(ঘ) যাহার নিকট হইতে খাদ্যদ্রব্য মজুদ বা বিতরণের জন্য গ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহাকে বা উৎপাদনকারীর উৎস শনাক্তকরণ করিতে না পারেন; বা
(ঙ) অনিরাপদ জানা সত্ত্বেও খাদ্যদ্রব্য মজুদ বা বিতরণের জন্য গ্রহণ করেন।

(৩) কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ বিক্রেতা কোন খাদ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এই আইনের বিধান লংঘনের জন্য দায়ী হইবেন, যদি তিনি,-
(ক) মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখের পরে কোন খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করেন অথবা বিক্রয়স্থলে মজুদ রাখেন;
(খ) অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় কোন খাদ্য বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ বা মজুদ করেন অথবা বিক্রয় করেন;
(গ) খাদ্য নিরাপদ তা সংক্রান্ত তথ্য, ব্যবসায়িক চিহ্ন বা পরিচিতি মুছিয়া ফেলেন;
(ঘ) যাহার নিকট হইতে খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহাকে বা বিতরণকারী বা উৎপাদনকারীর উৎস শনাক্তকরণ করিতে না পারেন; বা
(ঙ) অনিরাপদ জানা সত্ত্বেও মজুদ অথবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোন খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করেন।

নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – পঞ্চম অংশ নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – সপ্তম অংশ
Back to top