নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – তৃতীয় অংশ

(২৬) ‘‘বহিঃস্থ পদার্থ (বীঃৎধহবড়ঁং সধঃঃবৎ)” অর্থ এইরূপ কোন পদার্থ যাহা খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকরণে কাঁচামাল বা উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ বা প্যাকেজিং এ ব্যবহৃত হইবার কারণে উহার মধ্যে উপস্থিত থাকিতে পারে, কিন্তু উক্ত খাদ্যপণ্যকে অনিরাপদ করে না;

(২৭) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(২৮) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে কোন কোম্পানি, সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি, সংঘ, সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(২৯) ‘‘ভেজাল খাদ্য’’ অর্থ এমন কোন খাদ্য বা খাদ্যদ্রব্যের অংশ,
(ক) যাহাকে রঞ্জিত, স্বাদ-গন্ধযুক্ত, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ বা আকর্ষণীয় করিবার জন্য এইরূপ পরিমাণ উপাদান দ্বারা মিশ্রিত করা হইয়াছে, যে পরিমাণ উপাদান মিশ্রিত করা মানব-স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং যাহা কোন আইনের অধীন নিষিদ্ধ; বা
(খ) যাহাকে রঞ্জিতকরণ, আবরণ প্রদান বা আকার পরিবর্তন করিবার জন্য এমন কোন উপাদান মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে মিশ্রিত করা হইয়াছে যাহার ফলে মূল খাদ্যদ্রব্যের ক্ষতি সাধিত হইয়াছে এবং যাহার ফলে উহার গুণাগুণ বা পুষ্টিমান হ্রাস পাইয়াছে; বা

(গ) যাহার মধ্য হইতে কোন স্বাভাবিক উপাদানকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অপসারণপূর্বক অপেক্ষাকৃত স্বল্প মূল্যের ভিন্ন কোন উপাদান মিশ্রিত করিবার মাধ্যমে আপাতঃ ওজন বা পরিমাণ বৃদ্ধি বা আকর্ষণীয় করিয়া খাদ্যক্রেতার আর্থিক বা স্বাস্থ্যগত ক্ষতি সাধন করা হয়;

(৩০) ‘‘মৎস্য’’ অর্থ সকল প্রকার কোমল অস্থি ও কঠিন অস্থিবিশিষ্ট মাছ, স্বাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজ প্রাণী, কচ্ছপ, কাছিম, কাঁকড়া ও শামুক বা ঝিনুক জাতীয় জলজ প্রাণী, একাইনোডার্ম জাতীয় প্রাণী, ব্যাঙ ও উহার জীবনচক্রের যে কোন ধাপ এবং সরকার কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত অন্য কোন জলজ প্রাণীও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(৩১) ‘‘সদস্য’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের কোন সদস্য এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, চেয়ারম্যানও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;

(৩২) ‘‘সভাপতি’’ অর্থ পরিষদের সভাপতি এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পরিষদের সহসভাপতিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;

(৩৩) ‘‘সমন্বয় কমিটি’’ অর্থ ধারা ১৫ এর অধীন গঠিত কেন্দ্রীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি।

নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিধি-নিষেধঃ
বিষাক্ত দ্রব্যের ব্যবহার-২৩। কোন ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অথবা বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী রাসায়নিক দ্রব্য বা উহার উপাদান বা বস্তু (যেমন-ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফরমালিন, সোডিয়াম সাইক্লামেট), কীটনাশক বা বালাইনাশক (যেমন-ডি.ডি.টি., পি.সি.বি. তৈল, ইত্যাদি), খাদ্যের রঞ্জক বা সুগন্ধি, আকর্ষণ সৃষ্টি করুক বা না করুক, বা অন্য কোন বিষাক্ত সংযোজন দ্রব্য বা প্রক্রিয়া সহায়ক কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবেন না অথবা উক্তরূপ দ্রব্য মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ মজুদ, বিপণন বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।

তেজস্ক্রিয়, ভারী-ধাতু, ইত্যাদির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার-
২৪। কোন ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, প্রবিধান দ্বারা বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীন নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত পরিমাণ তেজস্ত্রিয়তাসম্পন্ন বা বিকিরণযুক্ত পদার্থ অথবা প্রাকৃতিক বা অন্য কোনভাবে থাকা কোন সমজাতীয় পদার্থ বা ভারী-ধাতু কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবেন না।

নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – দ্বিতীয় অংশ নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – চতুর্থ অংশ
Back to top