নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – চতুর্থ অংশ

ভেজাল খাদ্য বা খাদ্যোপকরণ উৎপাদন, আমদানি, বিপণন, ইত্যাদি-
২৫। কোন ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, কোন ভেজাল খাদ্য বা খাদ্যোপকরণ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উৎপাদন অথবা আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।

নিম্নমানের খাদ্য উৎপাদন, ইত্যাদি-
২৬। কোন ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, মানুষের আহার্য হিসাবে ব্যবহারের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত মান অপেক্ষা নিম্নমানের কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উৎপাদন অথবা আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ, বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।

খাদ্য সংযোজন দ্রব্য বা প্রক্রিয়াকরণ সহায়ক দ্রব্যের ব্যবহার-
২৭। কোন ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত পরিমাণ খাদ্য সংযোজন-দ্রব্য বা প্রক্রিয়াকরণ-সহায়ক দ্রব্য কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবেন না অথবা উক্তরূপে প্রস্তুতকৃত কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।

শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত তৈল, বর্জ্য, ভেজাল বা দূষণকারী দ্রব্য, ইত্যাদি খাদ্য স্থাপনায় রাখা-
২৮। কোন ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে কোন ভেজাল দ্রব্য মিশ্রিত করিবার উদ্দেশ্যে, শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত তৈল, বর্জ্য বা কোন ভেজালকারী দ্রব্য তাহার খাদ্য স্থাপনায় রাখিতে বা রাখিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন না।

মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ-
২৯। কোন ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, মেয়াদোত্তীর্ণ কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।

বৃদ্ধি, প্রবর্ধক, কীটনাশক, বালাইনাশক বা ঔষধের অবশিষ্টাংশ, অণুজীব, ইত্যাদির ব্যবহার-
৩০। কোন ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, প্রবিধান দ্বারা বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীন নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত পরিমাণ কীটনাশক বা বালাইনাশকের অবশিষ্টাংশ পশু বা মৎস্য-রোগের ঔষধের অবশিষ্টাংশ, হরমোন, এন্টিবায়োটিক বা বৃদ্ধি প্রবর্ধকের অবশিষ্টাংশ, দ্রাবকের অবশিষ্টাংশ, ঔষধ-পত্রের সক্রিয় পদার্থ, অণুজীব বা পরজীবী কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবেন না বা উক্তরূপ দ্রব্য মিশ্রিত কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ মজুদ, বিপণন বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।

বংশগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনকৃত খাদ্য, জৈব-খাদ্য, ব্যবহারিক খাদ্য, স্বত্বাধিকারী খাদ্য, ইত্যাদি-
৩১। কোন ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, প্রবিধান দ্বারা বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীন নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুমোদন গ্রহণ ব্যতিরেকে বংশগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনকৃত বা সংশোধিত খাদ্য, জৈব-খাদ্য, কিরণ-সম্পাতকৃত খাদ্য (রৎৎধফরধঃবফ ভড়ড়ফ), স্বত্বাধিকারী খাদ্য, অভিনব খাদ্য, ব্যবহারিক খাদ্য, বিশেষ পথ্য হিসাবে ব্যবহৃত খাদ্য, নিউট্রাসিউটিক্যাল এবং উক্তরূপ অন্যান্য খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।
ব্যাখ্যা ।- এই ধারায়-
(ক) ‘‘স্বত্বাধিকারী খাদ্য (ঢ়ৎড়ঢ়ৎরবঃধৎু ভড়ড়ফ)” বা ‘‘অভিনব খাদ্য (হড়াবষ ভড়ড়ফ)” অর্থ মান সুনির্দিষ্টকরণ সম্পন্ন হয় নাই, তবে অনিরাপদ নয়, এইরূপ কোন খাদ্য, যাহাতে প্রবিধান দ্বারা নিষিদ্ধ কোন দ্রব্য বা উপাদান উপস্থিত নাই;

(খ) ‘‘বিশেষ পথ্য হিসাবে ব্যবহৃত খাদ্য’’, ‘‘ব্যবহারিক খাদ্য (ভঁহপঃরড়হধষ ভড়ড়ফ)”, ‘‘নিউট্রাসিউটিক্যাল খাদ্য’’ বা ‘‘স্বাস্থ্য সম্পূরক খাদ্য’’ অর্থ কোন বিশেষ বাস্তব বা শারীরবৃত্ত সম্পর্কিত অবস্থা বা বিশেষ রোগ ব্যাধি ও অসুস্থতায় নির্দিষ্ট পথ্যের প্রয়োজন মিটাইতে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ও বিশেষ প্রক্রিয়া প্রতিপালনক্রমে প্রস্তুতকৃত খাদ্য;

(গ) ‘‘জৈব-খাদ্য (ড়ৎমধহরপ ভড়ড়ফ)” অর্থ কোন জৈব উৎপাদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করিয়া প্রস্তুতকৃত খাদ্য; এবং

(ঘ) ‘‘বংশগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনকৃত বা সংশোধিত খাদ্য (মবহবঃরপধষষু সড়ফরভরবফ ড়ৎ বহমরহববৎবফ ভড়ড়ফ)” অর্থ খাদ্য এবং খাদ্য উপাদান সমন্বয়ে গঠিত বা আধুনিক জীব-প্রযুক্তির মাধ্যমে বংশগত বৈশিষ্ট্য সংশোধন বা পরিবর্তনকৃত জীবসত্ত্বা রহিয়াছে এইরূপ উৎপাদিত খাদ্য বা খাদ্য উপাদান, যাহাতে আধুনিক জীব-প্রযুক্তির মাধ্যমে বংশগত বৈশিষ্ট্য সংশোধিত বা পরিবর্তনকৃত জীবসত্ত্বা নাই।

নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – তৃতীয় অংশ নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – পঞ্চম অংশ
Back to top