নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – সপ্তম অংশ

অপরাধ, দন্ড, ইত্যাদিঃ

এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিবার দন্ড
৫৮। কোন ব্যক্তি তফসিলের কলাম (৩) এ বর্ণিত এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য উক্ত বিধানের বিপরীতে কলাম (৪) এ বর্ণিত দন্ডে এবং একই বিধান পুনরায় লঙ্ঘন করিলে কলাম (৫) এ বর্ণিত দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

কোম্পানী কর্তৃক বিধান লঙ্ঘন বা অপরাধ সংঘটন-
৫৯। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধান লঙ্ঘনকারী বা অপরাধ সংঘটনকারী যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, অংশীদার, স্বত্ত্বাধিকার, চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক জেনারেল ম্যানেজার, ম্যানেজার, সচিব বা প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট অন্য কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী বা এজেন্ট, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, বিধানটি লঙ্ঘন বা অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লঙ্ঘন বা অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন বা অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়া অকৃতকার্য হইয়াছেন।

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানী আইনগত ব্যক্তিসত্ত্বা (ইড়ফু ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃব) হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানীকে পৃথকভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে ফৌজদারী মামলায় উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদন্ড আরোপ করা যাইবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারায়-
(ক) ‘কোম্পানী’ অর্থে যে কোন সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি, সংঘ বা সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘পরিচালক’ অর্থে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যও অন্তর্ভুক্ত হইবে।

জামিনযোগ্যতা ও আমলযোগ্যতা-
৬০। এই আইনের ধারা ২৩, ২৪,২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৪, ৩৫ ও ৩৭ এ বর্ণিত অপরাধ আমলযোগ্য (পড়মহরুধনষব) ও অজামিনযোগ্য (হড়হ-নধরষধনষব) হইবে এবং উক্ত অপরাধ ব্যতীত এই আইনের অন্যান্য অপরাধ অ-আমলযোগ্য (হড়হ-পড়মহরুধনষব) ও জামিনযোগ্য (নধরষধনষব) হইবে।

অন্য আইনে অপরাধ হইবার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি-
৬১। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ যদি অন্য কোন আইনে বিশেষ অপরাধ হিসাবে উচ্চতর দন্ডযোগ্য অপরাধ হইয়া থাকে, তাহা হইলে উহাকে এই আইনের অধীন নিরাপদ খাদ্য বিরোধী বিশেষ অপরাধ হিসাবে গণ্য করিয়া বিচারের জন্য গ্রহণের ক্ষেত্রে আইনত কোন বাধা থাকিবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট অপরাধের প্রকৃতি ও গুরুত্ব বিবেচনা করিয়া যদি কর্তৃপক্ষ মনে করে যে, উক্ত অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশেষ আদালত বা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে, যাহা প্রযোজ্য, উহার বিচার হওয়া সমীচীন হইবে, তাহা হইলে এতদুদ্দেশ্যে চেয়ারম্যানের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে, উহার অধিকতর কার্যকর বিচার নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে, বিশেষ আদালত বা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যাহা প্রযোজ্য, মামলা দায়েরের লক্ষ্যে চেয়ারম্যান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

অর্থদন্ডের অর্থের অংশ অভিযোগকারীকে প্রদান-
৬২। এই আইনের অধীন কোন মামলায় খাদ্য আদালত কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করিয়া কোন অর্থদন্ড আরোপ করিলে উক্ত অর্থের ২৫ (পঁচিশ) শতাংশ অর্থ প্রণোদনা হিসাবে সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারী প্রাপ্ত হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, অভিযোগকারী কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী হইলে, তিনি উক্ত প্রণোদনা প্রাপ্য হইবেন না।

নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – ষষ্ঠ অংশ নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) – শেষ অংশ
Back to top